Unknown
ধৃতরাষ্ট্রকে আমরা সবাই চিনি। জন্ম থেকে অন্ধ হওয়া সত্ত্বেও পাণ্ডুর অবর্তমানে রাজা হয়েছিল সেই। কিন্তু আমরা আজ শুনব এমন একজনের গল্প, যে হয়তো আজকের যুগে দাঁড়িয়ে ছাপিয়ে গেছে ধৃতরাষ্ট্রকেও। হায়দ্রাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে শ্রীকান্ত বোলা। চাষ আবাদ করেই সংসার চালায় গরীব বাবা। কিন্তু গরীব হওয়ার থেকেও বড় অভিশাপ আছে শ্রীকান্তের জীবনে। জন্ম থেকেই সে দুচোখে দেখতে পায়না। প্রচলিত গ্রাম্য ধারণা থেকে সবাই ওর বাবা মাকে বলেছিল এই ছেলে সংসারের জন্য পাপ, একে ছোটবেলাতেই মেরে ফেললে, এই পাপ বহন করতে হবে না, কেউ বলেছিল দৃষ্টিহীন মানুষের কোন মূল্যই নেই এই সমাজে। কিন্তু বাবা-মায়ের মন বলে কথা, নিজের ঔরস থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান কে মেরে ফেলার কথা ভাবা যায় নাকি?

আজ প্রায় তেইশ বছর বাদে শ্রীকান্ত নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছে আর ভুল প্রমাণ করেছে তাঁর প্রতিবেশীদের। আজ যদি কেউ তাঁর দিকে তাকিয়ে বলে ‘শ্রীকান্ত তুমি কোনকিছুর উপযুক্ত নও, সেও পাল্টা বলার ক্ষমতা রাখে, যে এমন কিছু এই পৃথিবীতে নেই, যা সে পারেনা’। আর এটা তাঁর নিজের প্রতি বিশ্বাস।
হায়দ্রাবাদের বোলান্ত ইন্ডাস্ট্রির সি.ই.ও আর প্রতিষ্ঠাতা হল শ্রীকান্ত। লেখাপড়া না জানা বা কোনভাবে প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়েই এই প্রতিষ্ঠান চালায় সে। ইকো-ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট তৈরি করে তারা। কিন্তু চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো বিষয়টা হল এই কোম্পানি এখন ৫০ কোটির সাম্রাজ্য। আর এখানেই ধৃতরাষ্ট্রের সাথে তাঁর একটা অদ্ভুত মিল রয়েছে। দুজনেই মন দিয়েছিল সাম্রাজ্য বিস্তারে। শ্রীকান্ত নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে সৌভাগ্যবান মানুষ বলে মনে করেন। যে বাবা-মা বছরে বিশ হাজার টাকা রোজগার করে, সমাজের বিভিন্নরকম কটূক্তি মেনে নিয়ে, নিজেদের মতো করে মানুষ করেছে তাদের একমাত্র সন্তানকে, তারাই পৃথিবীতে সবথেকে ধনী। নিজের অন্ধত্বকে জয় করে শ্রীকান্ত আজকে কোটিপতি। কিন্তু সে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে অন্য কারণে। সে মনে করে তাঁর বাবা-মা তাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছিল বলেই আজ সে এই জায়গায়, তাই পয়সা থাকলেই মানুষ ধনী হয়না, সুখে থাকতে পারাটাই আসল এই মনুষ্য জীবনে।
পিছিয়ে পড়েও সাফল্যের গল্প:
শ্রীকান্তের মতো অনেক গল্প আছে, যা আশার আলো দেখায়। কিন্তু আশাটা কিসের? অনেক টাকা রোজগার করার মতো ইচ্ছা নাকি মানসিক দৃঢ়তা। আসলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেকেই বড় হয়, তারাও স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন কে বাস্তবে পরিণত করে, কিন্তু বাস্তবের গণ্ডিটা পার করতে পারে কজন আর সেটাই করে দেখিয়েছে এই ছেলে। আসলে জীবনের প্রতি একটা অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে গভীর অন্ধকার থেকেও আলো দেখতে সাহায্য করেছে। জন্মান্ধ হওয়াটা যেমন ওর জীবনের একটা দিক, আর একটা দিক হল সে গরীব ঘরে জন্মেছিল। স্কুলে পড়তে গেলে সবসময় তাকে পেছনের দিকে ঠেলে দিত তাঁর বন্ধুরা, কোনরকম খেলাধুলায় সে অংশগ্রহণ করতে পারত না, সবথেকে বড় কথা হল গ্রামের স্কুলে এটা ভাবার মতো কেউ ছিলনা, যে এসবের ফলে ছোট ছেলেটার মধ্যে কি টানাপড়েন চলছে। প্রতিপদে তাকে বঞ্চনার স্বীকার হতে হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বত্রই সে তাচ্ছিল্যের স্বীকার হয়েছে। দেশের ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সে। কিন্তু লড়াই থামায় নি সে। প্রসঙ্গত একজন বিখ্যাত লেখক বলেন যে ‘আমরা, আলোর পথের যোদ্ধারা যাবতীয় অন্যায়ের বিরোধিতা করতে পারি, কারণ আমরা সুযোগ পাই, যাবতীয় চক্রান্ত কে অস্বীকার করতে পারি কারণ বিপদের জন্য আমরা আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে পারি, কিন্তু তবুও অনেকসময় আমরা ভবিষ্যৎ কে বুঝতে ভুল করে ফেলি’।
আজকে শ্রীকান্তের নিজস্ব চারটে প্রোডাকশন ইউনিট আছে, কর্ণাটকের হাবলি, তেলেঙ্গানার নিযামাবাদে একটা করে আর হায়দ্রাবাদে দুটো। কিছুদিনের মধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সিটিতে সম্পূর্ণ সোলার নিয়ন্ত্রিত একটা নতুন প্ল্যান্ট তৈরি হতে চলেছে। এসব দেখেই ইনভেস্টর রবি মান্থা দেখা করেছিলেন শ্রীকান্তের সাথে বছর দুয়েক আগে। তাঁর সাথে কথা বলে, তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধি, দূরদৃষ্টি দেখে সে বেশ অবাক হয়ে গেছিল, আর এসব থেকেই তিনি শ্রীকান্তের মেন্টর হতে চেয়েছেন, সাথে ইনভেস্ট করেছেন তাঁর কোম্পানিতে। তারা এরমধ্যেই প্রায় ১৩ কোটি টাকা ঢেলেছে আর প্রায় ৯ কোটি টাকা উঠেও এসেছে। রবির ইচ্ছা আছে এর পর এই কোম্পানিকে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং এর আওতায় নিয়ে যাওয়া। একটা প্রতিষ্ঠান, যেখানে ৭০ শতাংশ কর্মী কোনভাবে প্রতিবন্ধী আবার যাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় পঞ্চাশ কোটি।

বিচ্ছিন্নতা - বড় অভিশাপ:
ছোটবেলা থেকেই শ্রীকান্ত তাঁর বাবার সাথে মাঠে যেত চাষ করতে। কিন্তু চোখে না দেখতে পেলে, সে কাজ করবে কি করে? তাই তাঁর বাবা ঠিক করে যে ছেলেকে পড়াশুনা করান উচিত। প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার হেটে সে স্কুলে যেত কিন্তু সেখানেও একইরকম অবজ্ঞা, শেষ বেঞ্চে বসতে পাওয়া, শরীর শিক্ষার ক্লাসে সুযোগ না পাওয়া। আর এসব থেকেই তাঁর মধ্যে একটা জেদ আসে, জীবনে বড় হওয়ার জেদ। আসলে একাকীত্ব মানুষকে একটা অন্য জগতে ঠেলে দেয়। যখন তাঁর বাবা বুঝতে পারল যে ছেলে আসলে কিছুই শিখতে পারছেনা এভাবে, তখন সে ছেলেকে হায়দ্রাবাদের একটা স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করে দেন। আর সেখানেই যেন শ্রীকান্তের জীবনের দরজাটা উন্মুক্ত হয়ে যায় আরও ভালো করে। দাবা থেকে ক্রিকেট – সবেতেই সে তাঁর প্রতিভার পরিচয় দেয়। পড়াশুনাতে সে তাঁর ক্লাসে টপ করে, এমনকি এখানে থাকাকালীন সে আমাদের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের সাথে লিড ইন্ডিয়া প্রোজেক্টে কাজ করার সুযোগ পায়। কিন্তু এসব কিছুই কাজে আসেনি তাঁর জন্য যখন সে বোর্ডের পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ নাম্বার নিয়ে পাশ করার পরও বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। তখন তাঁর মনে হয়েছিল সে চোখে দেখতে না পেলেও আশেপাশের মানুষ আর সব অদ্ভুত নিয়ম তাকে জোর করে যেন বেশি অন্ধকারে পাঠিয়ে দিতে চায়। সমাজ যেন একটা বাঁধার মতো এখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র সে নয়। লড়াইটা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বিজ্ঞান নিয়েই ভালো নাম্বার নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সে। কোর্ট অর্ডারে নিজের ঝুঁকি নিয়েই সে পড়তে চেয়েছিল আর সফলও হয়েছে সে।
আসলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য যেকোনো রকম ঝুঁকি নিতেই শ্রীকান্ত কখনো পিছপা হয়নি। যারা তাঁর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিল, তাদের ভুল প্রমাণ করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল। ৯৮ শতাংশ নাম্বার নিয়ে দ্বাদশ উত্তীর্ণ হয়ে সে শুরু করে তাঁর পরবর্তী লড়াই। আই.আই.টি মুম্বাই বা এরকম আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করে সে, কিন্তু সেখানেও একই বাঁধা, একই ধারণা সবার। শ্রীকান্ত আমাদের বলছিল ‘আমার কাছে একটা চিঠি আসে, সেখানে লেখা ছিল যেহেতু আমি অন্ধ, সেই জন্য কোনরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আমি অংশগ্রহণ করতে পারবনা। আমিও ঠিক করি যদি আই.আই.টি আমাকে না চায়, তাহলে আমারও আই আই টি কে দরকার নেই। আসলে প্রত্যেকের তো লড়াই করার একটা সীমা থাকে’। সে ইন্টারনেটে তাঁর জন্য সুবিধাজনক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের খোঁজ খবর শুরু করে, তাঁর মতো করে সে গড়ে তুলবে তাঁর নিজের জীবন। সে আমেরিকার বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে আবেদন করতে থাকে আর মজার বিষয় হল যে ছেলে তাঁর নিজের দেশের কোন কলেজে ভর্তি হতে পারছিলনা, সে বিদেশের টপ চারটে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পায়। প্রথম অন্ধ ছাত্র হিসাবে ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় সে, যদিও সেখানে গিয়ে জীবন খুব সহজ ছিলনা তার। সেখানে গিয়ে নিজেকে আর সবার সাথে মানিয়ে নেওয়াটা একটা বড় ব্যাপার ছিল। কিন্তু সে লড়াইটা করতে জানে। সে জানে কিভাবে নিজের উপস্থিতিকে জানান দিতে হয় বিশ্বের দরবারে। তাই সফলতাও এসেছে তাঁর কাছে নিজের পথেই। কোর্স শেষ করার পর যখন লক্ষ্য টাকার চাকরি তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন সে ফিরে আসে নিজের দেশে। আসলে দেশে যে তাঁর অনেক জবাব দেওয়ার ছিল। এখানে তাঁর প্রমাণ করার ছিল যে সে ফুরিয়ে যায়নি। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধকতাঁর কারণে একজনকে কেন পিছিয়ে পড়তে হবে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার মুখে, ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কেন তাদের কোন মূল্য থাকবেনা, তারা কেন আর সবার মতো একটা ঠিকঠাক জীবনযাপন করতে পারবেনা। এই প্রশ্নগুলোই তাকে ফিরিয়ে এনেছে নিজের দেশে।
কর্পোরেট আমেরিকার সুবর্ণ সুযোগকে হেলায় ছেড়ে দিয়ে সে ফিরে আসে ভারতে, নিজের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। সামাজিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সে একটা সাপোর্ট সার্ভিস তৈরি করে, প্রতিবন্ধী মানুষদের শিক্ষার আলো দেখিয়ে, সমাজের বুকে একটা স্থান করে দেওয়াই তাঁর মুল উদ্দেশ্য। ইওর স্টোরির সাথে কথা বলার সময় তিনি বলছিলেন ‘প্রায় তিন হাজার প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী কে লেখাপড়া শিখিয়েছে তাঁরা, কিন্তু এরপর কি হবে, এই মানুষগুলোর কাজের সুযোগ কোথায় আর তখন আমি এই ব্যবসা শুরু করি, যেখানে এখন প্রায় ১৫০ জন এরকম মানুষ মনের আনন্দে কাজ করে চলেছে’।
নাবিক যদি পারদর্শী হয় তাহলে দুরন্ত সমুদ্রেও নৌকা চালান খুব একটা কঠিন নয়, প্রয়োজন কিছুটা সমর্থন। শ্রীকান্তের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। যে স্পেশাল স্কুলে সে পড়াশুনা করেছিল সেখানকার একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্বর্ণলতা, তাকে সাহায্য করেছিল প্রতিপদে। অনেকবছর ধরেই সে শ্রীকান্তের পরামর্শদাতা এবং পথ প্রদর্শক। এবার সে তাঁর প্রতিষ্ঠানে যোগ দিল নতুন রূপে, সে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বোলান্তের কর্মীদের উপযুক্ত করে তুলতে লাগল, তাদের জীবনের মানেটাই যেন বদলে যেতে লাগল দিনের পর দিন। ইনভেস্টর রবি বাবু বলছিলেন যে শ্রীকান্ত যেমন তাঁর বন্ধু তেমন সে অনুপ্রেরণাও বটে। প্রতিদিন সে শ্রীকান্তের থেকে নতুন কিছু শিখতে পারে, সে উপলব্ধি করেছে যে মানুষের মধ্যে যদি কিছু করার একটা প্রবল জেদ থাকে, তাহলে কোন বাঁধাই তাকে সেই লক্ষে পৌঁছানর থেকে আটকে রাখতে পারেনা।
যে ছেলেটা দুচোখে অন্ধকার নিয়ে জন্ম নিয়েছিল, পৃথিবীর আলো যার চোখে কোনদিন পৌঁছায়নি, সেই ছেলেই কিন্তু আজকে অনেক মানুষকে জীবনের আলো দেখাচ্ছে। অপরের প্রতি সমবেদনা দেখানো, একাকীত্ব দূর করে মানুষের পাশে থাকতে পারার মন্ত্র নিয়েই জীবনে আরও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে শ্রীকান্ত বোলা
Unknown
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, কোনও কিছুই ফ্যালনা নয়। এই কথাটা আমরা বহুবার শুনেছি। নেহাতই হেলাফেলার জিনিস। পুকুরের কচুরিপানা। তা দিয়েও যে নানান রকমারি জিনিস তৈরি করা যায় কেই বা জানত। অসমের পুষ্পি ব্রহ্ম সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কচুরিপানার স্ট্র শুকিয়ে ব্যাগ মাদুর পাটি বানিয়ে কোঁকড়াঝাড়কে রীতিমত স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
নিজের এই কাজকে শুধু অসমের ভৌগলিক সীমানায় আটকে রাখেননি।
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হাতব্যাগ বা সাইড ব্যাগের কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছেন কলকাতায়। ঘুরছেন দেশের অন্যপ্রান্তেও। মেলায় মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পুষ্পি। তাঁর উদ্যোগে ভর করে স্বচ্ছল হয়ে উঠছেন কোঁকড়াঝাড়ের কয়েকশ মানুষ।
কলকাতায় ট্রেড ফেয়ারের স্টল সামলাবার ফাঁকে আমাদের জানালেন তার লড়াই এর কাহিনি। বললেন, কোঁকড়াঝড়ের গ্রামেই নিজে ছোটখাটো হাতের কাজ করে হাত খরচ জোগার করতেন। আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার পুষ্পি। ছোটোবেলা থেকেই উদ্যোগী মেয়ে। একের পর একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষক বাবা আর সংসারের দায়িত্ব সামলানো মাও হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। মেয়ের উদ্যোম দেখে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন। মেখলা, চাদর আর বাঁশের তৈরি ট্র্যাডিশনাল জিনিসের ব্যবসা করেছেন পুষ্পি। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পণ করেছেন যেন। কিন্তু সেসবের বাজার বছরভর চাঙ্গা থাকত না। তাই বলছিলেন, "আমাদের ওখানে প্রচুর পরিবার ওই একই কাজ করতেন। খালি ভাবতাম নতুন কিছু যদি করা যায়, তবে তাহলে হয়তো বাজারে মোটামুটি সারা বছর চাহিদা থাকবে। এটা সেটা খুঁজছিলাম বছর দুয়েক আগে সুযোগ এল। নর্থ ইস্টার্ন ডেভেলপমেন্ট ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন (NEDFI) এর ক্যাম্প বসেছিল, সেখানেই খোঁজ পেলাম। থাইল্যান্ডের একটি হস্তশিল্পকে অসমে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করার পরিকল্পনা করছিলেন ওঁরা। সেই ক্যাম্পেই আমাদের এলাকার কচুরিপানাকে রি-সাইকেল করে একটি নতুন ধরনের হাতের কাজের ট্রেনিং নিলাম। তারপর ট্রেনিং শেষে নিজে কয়েকটা কচুরিপানার পাতা দিয়ে মহিলাদের হাত ব্যাগ তৈরি করালাম। আমার তৈরি মেখলা কিনতে আসা মহিলারাই এবার কচুরিপানার ব্যাগ পেয়ে দারুণ খুশি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সব ব্যাগ বিক্রি হয়ে গেল। বুঝলাম এতদিন ধরে যে জিনিসটা খুঁজছিলাম তার হদিশ পেয়ে গেছি।"
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অসমের বেশ কিছু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা মন্দার মধ্যে দিয়ে চলছিল। পর্যটনেও তার প্রভাব পড়ে। সেই সব প্রভাব কাটিয়ে ধীরে ধীরে আবার নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে কোকড়াঝাড়। সে সুযোগটাই কাজে লাগালেন পুষ্পি।
জমানো পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগিয়ে দিলেন নতুন কাজে। এলাকার কর্মহীন মহিলাদের নিজেই প্রশিক্ষণ দিলেন। কাঁচামালের যোগান এলাকার পুকুর থেকেই তুলে নিলেন। তাঁদের শেখালেন কিভাবে সঠিক জলকুম্ভি বা কচুরিপানা বাছাই করতে হয়। তারপর সেই আড়াই বা তিন ফুট লম্বা কচুরিপানা শুকিয়ে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করে হাতের কাজের উপযোগী করে তোলা ছিল তার বাঁ হাতের খেল। দক্ষতার সঙ্গে বুনে তৈরি হতে লাগল সাইড ব্যাগ, হ্যান্ড-ব্যাগ, ঘর সাজানোর নানা উপকরণ।
তার নিজের কথায়," আমাদের এলাকায় বেশ কিছু মহিলা ট্রেনিং নিলেন, তারপর ২০১৩ এর শেষের দিকে আমি কোঁকড়াঝারে আমার দোকানে নতুন কয়েকটা প্রোডাক্ট তুললাম। স্থানীয় লোকজন আর পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হল সেগুলো। কিন্তু ততদিনে আমার টিমে প্রায় ৩০ জন সদস্য হয়ে গিয়েছে। চিন্তা ছিল বাজারটা কি করে আরও বড় করা যায়। শেষমেশ আগের মত শুধু কোঁকড়াঝাড়েই না আটকে রয়ে যাই। অন্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম ভিন রাজ্যে বাজার না ধরতে পারলে মুস্কিল। অন্য রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেলায় অংশগ্রহণ করা শুরু করলাম। গোয়া,বোম্বে,দিল্লি ও কলকাতার বিভিন্ন মেলায় যোগদান করলাম। বিভিন্ন রাজ্যের ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছি। ক্রেতাদের কাছ থেকে তাদের চাহিদা মাফিক পণ্যের ডিজাইনে নানা পরিবর্তন করি। অনেক কিছু শিখলাম। কয়েকজন পাইকারি ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ হল।ভিন রাজ্যে মাল পাঠানো শুরু করলাম।ব্যাবসায় অনেক বদল এল। এখন আর আমার গুয়াহাটি ও কোঁকড়াঝাড়ের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের ৪০ জন সদস্যের নিয়মিত কাজের যোগানের জন্য চিন্তা করতে হয় না।উল্টে সময়মত অর্ডার পাওয়া প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারলাম কিনা তার চিন্তাই ভাবায়। জলে ভাসা কচুরিপানা যে আমায় একটা শক্ত মাটিতে দাঁড় করাবে তা কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। সত্যি খুব অবাক লাগে, ভালও লাগে।"
কোঁকড়াঝাড়ে পুষ্পির সাই ইন্ডাস্ট্রিজ এখন বেশ পরিচিত নাম। পুষ্পির কচুরিপানার তৈরি হাতব্যাগ ঝোলাব্যাগ কলেজপড়ুয়াদের কাছে রীতিমত হটকেক। সময়ের সঙ্গে বদল এসেছে অনেক। কমবেশী চল্লিশটি পরিবার, শদুয়েক মানুষ এখন কচুরিপানার পণ্য বানিয়ে বেঁচে আছেন। পুষ্পির দেখাদেখি আরও অনেকেই এই কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে উৎসাহী
Unknown
Technology startup investments seem to follow a wave, especially when you look at it according to sectors. Be it Silicon Valley or any part of the globe, there is a pattern that is followed.

There might be a lot of startups in one space, but when one investor decides to make a move, the others also move in quick succession. In India, we’ve seen this with e-commerce, cab aggregators and food delivery startups. There have been many more such pockets as well, and in this post, we look at five interesting areas in the consumer space that seem to be garnering a lot of interest right now.


Self-drive car rentals


These startups provide cars for rent; and users need to drive on their own. This service is typically used when people are going out on weekend getaways or day trips requiring a lot of travel. It also caters to the segment of people who don’t own a car but enjoy the experience of having one; and this is a big value proposition in India. Companies like Zoomcar, JustRide, Revv, Voler Cars and Myles from Carzonrent are the names that have emerged till now.  The concept of self-drive car rentals is already very popular in countries like the US and China where fairly large companies like Hertz, Zipcar, eHi, etc., have been created.Greg Moran, Co-founder, ZoomcarTarun Davda, Director at Matrix Partners says, “Local transport is a very large market and is dominated by on-demand cab companies like Ola and Uber because of the ease of booking, affordable pricing and the hassle-free experience they offer.” He also points out the challenges that exist because of an asset-heavy model:

a) Ensuring utilization of the fleet during weekdays, not just weekends, which will result in better unit economics.
b) Maintaining the quality of the fleet over time.

Weekend trips seem to be the dominant use-case for self-drive rentals right now, and some of these companies see greater than 90 per cent utilization on weekends. For typical weekday use-cases like commute to the office, going to the cinema, a visit to the mall, business meetings, etc., Indian consumers still show a preference for cabs. This is because they don't want to deal with parking issues, or finding directions, etc., which are still huge pain-points. Also, given the relatively lower labour costs in India, booking a cab isn’t much more expensive than booking a self-drive car.

On the whole, the self-drive car rental category is large and interesting, and has a lot of potential in India.
Bus aggregators

Commuters using rBusAfter the mighty success of cab aggregators like Uber and Ola, we have bus aggregators. These are service companies that are trying to bring all the intracity buses on to a single platform, and users can book via the website or an app. In India, we have players like Shuttl, ZipGo, rBus and Cityflo. All these companies have raised a seed round and follow the footsteps of companies like Bridj, Chariot, Leap, etc. “Bus aggregation is a very large opportunity with a potential market of 5-10 thousand daily bus trips in each of the larger cities in India,” says Tarun. The key use-case that most startups are catering to today is around office commute. However, as these companies scale, they will be able to cater to several of the daily use-cases. Tarun also points out the numerous challenges that exist for these companies:

a) Availability of quality supply at scale – this doesn't exist today and will need to be created; just like Ola and Uber did for cabs.
b) Route planning - unlike cab companies, startups in this space will need to decide which routes to pick, how many buses to run on each route and at what time, etc.
c) Utilization and profitability of each bus trip – how many passengers are needed to breakeven on a particular trip? How do you ensure predictability of demand?
d) Competition with cab-aggregators like Ola which already have the user base and are planning to offer bus rides as an additional category.
e) Regulatory concerns on running a private bus-service.

Siddharth Talwar, VC at Lightbox Ventures, raises similar concerns. “I don’t see why a cab aggregator wouldn’t enter this space. It is an interesting space, though it requires a lot of capital to build such a business at scale.” However, many of the startups are beginning on this road with a vision of simplifying the commute for the urban Indian.
Wellness and beauty marketplaces


Marketplaces hold the promise of the online world - the perfect bridge to the offline world. There are a lot of startups building supply and demand for a particular segment and the model has become almost an obsession. Wellness and beauty is one such area. VanityCube, Belita, Vyomo, Hyve, Getlook, Bulbul, BigStylist, Stylish, Styl etc., are all startups in the metros of India that are trying to make it easy for users to discover spas and salons around them.

A 2012 Price Waterhouse Coopers/FICCI report said the beauty care market is worth between Rs 230 and Rs 245 billion and is growing at 20 to 25 percent annually (source). This is the market that all these startups are chasing. Think of them as a Zomato for the beauty and wellness industry. There are various models involved: tying up with big well known brands like L’Oreal or having independent stylists on board or having a trained team and creating a brand. Hybrids of these are, of course, possible and the vertical also has scope for extension into other areas. Globally, Rocket Internet backed Vaniday recently raised a $15 million round.
On-demand logistics services


If you’ve travelled on Indian roads and highways, you know how many trucks there are on the road. Thinking of getting cabs and buses on a platform is a problem one can think of solving but managing trucks is audacious. “This is a very large and extremely fragmented market. It takes a lot to start figuring out and rationalizing this space and I’m glad there are entrepreneurs who are already on to the problem. I am very excited to see how things progress here,” says Sid Talwar.

Meet Shippr, Blowhorn, The Porter, The Karrier, GoGo Trucks, Trukky, Moovo and ReturnTrucks. These companies are aggregating intra city trucks to help consumers with intra city logistics. Be it relocating, supplying construction material, event management material or anything else, users or businesses can book and track mini trucks available around them. Then there are the likes of TruckSuvidha and TruckMandi which operate more in the B2B space. This domestic market is pegged to be at INR 6 lakh crore; and technology has just scratched the surface when it comes to bringing about a disruption in the space.
On-demand physical storage


Think of Dropbox for physical spaces. Tackling a major problem of urban places, on-demand physical storage service provides let users store their stuff in a warehouse. Professionally managed with a monthly subscription fee, users can rent out physical spaces owned by the companies where their stuff can be kept. The company has a fleet which will retrieve the things when needed.

In India, Boxmyspace and StoreMore are two companies starting out from Mumbai and NCR respectively. “This is a huge pain point in the cities. The industry has a few obstacles in terms of getting a customer comfortable with the idea of having a remote space on rent but the solution certainly has potential,” says Siddharth.

Globally, Boxbee has raised $6 million, MakeSpace has raised $8 million, and there are similar services coming up in different geographies across the world.

Most of these 5 sectors are still in very early stages in terms of technology coming in to change the way things function. Some are large enough markets to sustain many companies in the space while some are small and will see consolidation down the road. What are your thoughts on these sectors?
Unknown
 সবাই মাতৃ গর্ভ থেকে ধনকুবের হয়ে আসেনা, জীবনে অর্থ বিত্ত এসব আপনি পাবেন তখনি যখন আপনি পরিশ্রম করবেন এবং নিজেকে সেই উচ্চতায় নিতে চেষ্টা করবেন। জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট আলিবাবা ডট কম এর কর্ণধার এবং চীনা কোটিপতি জ্যাক মা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যুব সমাজকে জীবনে উন্নতি করতে করণীয় নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।




জ্যাক মা বলেন, আমি আজ যেখানে এক সময় আমি এই অবস্থানে ছিলাম না। আমি যখন আলিবাবা নিয়ে ভাবতে থাকি তখন চীনের ইন্টারনেট দুনিয়া এতো প্রসারমান ছিলোনা। আমাকে স্রোতের বিপরীতে ভাবতে হয়েছে কিছু একটা করার জন্য। আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নি যে আমি আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করবো। আমাকে আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে বসতে হয়েছে। সবার সাথে আলোচনা করতে হয়েছে। আমি ২৫ জন বন্ধুকে আমার বাসায় দাওয়াত দিলাম। তাদের আমি আমার পরিকল্পনা জানালাম। তাদের মাঝে ২৪ জন বন্ধুই আমাকে বললও তুমি ভুল করছো। তোমার এভাবে চিন্তা করাই ভুল যেখানে চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই বেশীরভাগ মানুষের সেখানে তুমি এই সেক্টর নিয়েই কাজ করবে এবং ভবিষ্যৎ গড়বে এমন চিন্তা করতেই পারোনা। সবার মাঝে আমার এক বন্ধু আমাকে বলে “তুমি যা করতে চাও মন থেকে তাই করো, চেষ্টা করে দেখো লক্ষ্য ঠিক থাকলে সাফল্য আসবেই।”

জ্যাক মা বলেন আমি হতাশ হইনি, যেখানে আমার ২৫ জন বন্ধুর মাঝে ২৪ জন আমাকে আলিবাবা নিয়ে কাজ করতে না করে সেখানে আমি আমার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাই। আমি লক্ষ্যে স্থির থাকি। আজ আলিবাবা আমাকে এই পর্যায়ে আনেনি আমি আলিবাবাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আপনাকে কেউই হাতে ধরিয়ে দিবেনা কিছু আপনার হাতে ধরে নেয়া জানতে হবে চেষ্টা করতে হবে। নিজের যুবক সময় কাজ করার সময়কে প্রকৃত কাজে লাগাতে হবে।



জ্যাক মা যুব সমাজের জন্য যারা নিজেরা কিছু একটা করে দেখাতে চান তাদের জন্য কয়কেটি উক্তি করেন। তিনি বলেন তমাকে ধনী হতে হলে অবশ্যই এসব মনে রাখতে হবে, তবেই তুমি এগিয়ে যাবে নিজ উদ্যমে। নিচে এসব উক্তি তুলে ধরা হলো

আপনার দরিদ্র হয়ে জন্মানোটা দোষের না কিন্তু দরিদ্র হয়ে থাকাটাই দোষের।
আপনি যদি একটি দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়ে নিজের ৩৫ বছর বয়সেও সেই দরিদ্রই থাকেন তবে দরিদ্র হয়ে থাকাটা আপনার কপালের দোষ নয়, আপনি এটি প্রত্যাশা করেন। কারন আপনি আপনার যুবক বয়সকে কোন কাজে লাগাতে পারেন নি, আপনি সম্পূর্ণ ভাবে সময়টা নষ্ট করে দিয়েছেন।
জীবনে অনেক উপরে উঠতে হলে ২৫ বছর থেকেই শুরু করুন, নিজে পরিকল্পনা করুন, তাই করুন যা আপনি উপভোগ করতে জানেন।
এগিয়ে যাও তা না হলে ঘরে ফিরে যাও।
আপনি গরীব কারন আপনার দূরদর্শিতার অভাব।
আপনি দরিদ্র কারন আপনি আপনার ভীরুতাকে জয় করতে পারেন নি।
আপনি গরীব কারন আপনি আপনার সর্বচ্চো ক্ষমতা, ব্যবহার করতে পারেন নি।
আপনি দরিদ্র তাই সবাই আফসোস করবে কেওই আপনাকে সচ্ছল বানিয়ে দিবেনা।
যখন আপনার বাবা মায়ের চিকিৎসা ব্যয় আপনি মিটাতে পারবেন না কেউই আপনাকে তা দিবেন না।
আপনি নিজের ৩৫ বছর বয়সেও যখন কোন উন্নতি করতে পারবেন না সবাই আপনাকে উপহাস ঠিকি করবে কিন্তু কেউই আপনাকে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাবেনা।
নিজের জন্য নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা করতে হবে, ভাবনার সাথে প্রয়গিক বাস্তবতার সন্নিবেসন ঘটাতে হবে। ম্যাক মা আরো বলেন, অনেকেই হতাশ হয়ে যায়, কেউ যদি নিজের জীবনে উন্নতি করতে চায় তবে এর পেছনে মূল কারন ৪টি এগুলো হচ্ছে।

১) সুযোগের প্রতি ক্ষীণদৃষ্টি দেয়া এবং তার সৎ ব্যবহার করা।

২) সুযোগ খুঁজতে থাকা, কখন আসবে তা আপনি জানেন না তাই সচেষ্ট থাকা।

৩) যেকোনো জিনিস বুঝতে জানা, বুঝার চেষ্টা করা।

৪) হেরে যেতে না জানা, যদি হেরে যেতে হয় তবে এতো জলদি কেনো? লেগে থাকতে জানতে হবে।

উপরের সব কিছু যে অনুসরন করবে সে কখনোই দরিদ্র হয়ে থাকবেনা। আর যে নিজের ৩৫ বছর বয়সেও দরিদ্র থাকে তা হলে সে সেটা প্রত্যাশাই করে। আপনি দরিদ্র কারন আপনার কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।

জ্যাক মা
আলিবাবা ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
চীনা ইন্টারনেট entrepreneur এবং বিশ্বের সেরা ধনীদের একজ
Unknown

প্রতিদিন আমাদের সাইটে কয়েক কোটি ক্রেতা প্রবেশ করেন। আমরা চীনে প্রায় ১৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি করেছি। আমাদের শুরুটা ছিল মাত্র ১৮ জন মানুষ দিয়ে। এখন আমরা ৩০ হাজার মানুষ কাজ করি। ছোট একটি রুম থেকে শুরু করে আমাদের এখন কয়েক গুণ বড় অফিস হয়েছে। ১৫ বছর আগে আমরা কিছুই ছিলাম না। ১৫ বছর আগের কথা ভাবলে আমরা এখন বেশ বড় কোম্পানি, কিন্তু আগামী ১৫ বছর পরের কথা চিন্তা করলে আমরা এখনো শিশু, ছোট বাচ্চা। আমার বিশ্বাস, ১৫ বছর পর মানুষ ই-কমার্সের কথা ভুলে যাবে। তাদের কাছে ই-কমার্সের অস্তিত্ব বিদ্যুতের মতো স্বাভাবিক মনে হবে।



আমাদের কোম্পানি আলিবাবার আইপিওর মূল্যের পরিমাণ বেশ ছোটই, মাত্র ২৫ বিলিয়ন। আমরা সারা পৃথিবীর অন্যতম বড় মার্কেট ক্যাপিটাল কোম্পানি এখন। আমার দল আর আমাকে আমি মাঝেমধ্যেই বলি, এটা কি সত্য কিছু? আমরা ততটা বড় নই, যতটা দেখায়। বছর খানেক আগেও মানুষ বলত, আলিবাবার ব্যবসার মডেল ভয়ংকর। আমাদের চেয়ে অ্যামাজন ভালো, গুগল অসাধারণ বলে সবাই ভাবত। আসলে তখন আলিবাবার মতো ব্যবসার মডেল যুক্তরাষ্ট্রে ছিল না বলেই আমাদের নিয়ে সবাই এমনটা বলত। আমি নিজেকে ও অন্যদের বলতাম, লোকজন যা ভাবে, আমরা তার চেয়ে ভালো। কিন্তু এখন সবাই বদলে গেছে, আমাদের অনেক বড় বলে ভাবে সবাই। আমি সবাইকে বলতে চাই, আমরা বড় কেউ নই। আমরা ১৫ বছরে পা রাখা একটি কোম্পানি মাত্র। এই কোম্পানির জন্য ২৭ বা ২৮ বছরের কিছু তরুণ এমন কিছু কাজ করছেন, যা কিনা মানুষ এর আগে কখনো চেষ্টা করেনি।
১৯৬৪ সালে আমার জন্ম। চীনে তখন সবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয়, আমি সেখানে তিনবার ফেল করেছিলাম। আমি আরও অনেকবারই ফেল করেছি। প্রাইমারি স্কুলে পরীক্ষার সময় দুবার ফেল করেছিলাম। মাধ্যমিক স্কুলেও তিনবার ফেল করেছি। আমার শহর হাংজুতে মাত্র একটি মাধ্যমিক স্কুল ছিল। বেশ খারাপ ছাত্র ছিলাম দেখে আমাদের প্রাথমিক স্কুল থেকে পড়া কাউকে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করতে চাইত না কেউ। বারবার ভর্তিতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেশ উপকারই হয়েছিল আমার!
এখনো আমাকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে আমি চাকরির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। সেখানেও আমাকে ৩০ বারের মতো প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। যখন চীনে কেএফসি আসে, তখন ২৪ জন লোক চাকরির জন্য আবেদন করেন। সেখানে ২৩ জন মানুষ চাকরির সুযোগ পান। শুধু একজনই বাদ পড়েন, সেই মানুষটি আমি। এমনও দেখা গেছে, পাঁচজন মানুষের মধ্যে চারজনের চাকরি হয়েছে, আর বাকি একজন আমি নেই। প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যও আবেদন করেছিলাম, সেখানে আমাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ১০ বার লিখেছিলাম, ‘আমি ভর্তি হতে চাই।’ ১০ বার আবেদন করেছি, আর প্রতিবারেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি।
আমি ১২–১৩ বয়স থেকে ইংরেজি শেখা শুরু করি। চীনে তখন ইংরেজি শেখার সুযোগ ছিল না। কোনো ইংরেজি বইও পাওয়া যেত না। আমি যে হোটেলে বিদেশি পর্যটক আসত, সেখানে গিয়ে বিনে পয়সায় পর্যটকদের গাইডের কাজ করতাম। এরপর নয় বছর এই কাজ করে গেছি। তাতেই আমি পশ্চিমা ঢঙে ইংরেজি বলা শিখেছি। বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ঘোরাফেরা আমার মনকে অনেক বড় করে দিয়েছে। স্কুল আর মা-বাবার কাছ থেকে যা শিখতাম, আর পর্যটকদের কাছ থেকে যা জানতাম, তা ছিল ভিন্ন। সে জন্যই আমি নিজের জন্য ভিন্ন এক অভ্যাস গড়ে তুলি নিজের মধ্যে। আমি যা দেখি, যা পড়ি, তা মন দিয়ে পড়ি-চিন্তা করি।
১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরে সিয়াটলে আমি প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাই। ইন্টারনেটের গতি ছিল তখন ভীষণ ধীর। আমার বন্ধু আমাকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়। ভয়ে কম্পিউটার স্পর্শ করিনি সেদিন। চীনে কম্পিউটারের দাম ছিল অনেক, নষ্ট হয়ে গেলে তখন দাম দিতে পারতাম না। বন্ধুর উৎসাহে ইন্টারনেটে সার্চ করি। সেবারই প্রথম ই-মেইল শব্দটি শুনি।
আমি ইন্টারনেটভিত্তিক কিছু করার চেষ্টা শুরু করি। সেই সময়টায় বেশ জনপ্রিয় একটি নাম ছিল ইয়াহু। আমাদের কোম্পানির নাম আলিবাবা দিতে চেয়েছিলাম। ১০ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞেস করি, আলিবাবাকে তারা চিনে নাকি? সবাই বলেছিল ‘হ্যাঁ’। ‘আলিবাবা ও ৪০ চোর’ গল্পের কারণে সবাই আলিবাবাকে চিনে। তাই আমি এই নামই গ্রহণ করি।
শুরু থেকেই আমরা অনলাইনে বিশ্বাসের একটি জায়গা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষ একে অন্যকে কম বিশ্বাস করে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন বার লেনদেন করি। অনলাইনে মানুষ একজন আরেকজনকে চেনে না। আমি আপনাকে চিনি না, কিন্তু আমি আপনাকে পণ্য পাঠাই। আপনি আমাকে চিনেন না, কিন্তু আপনি আমাকে টাকা ঠিকই পাঠান। বিশ্বাসের জায়গাটা বড় করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আলিবাবার সাফল্যের অন্যতম লুকানো সূত্র হচ্ছে আমাদের এখানে অনেক নারী কাজ করেন। শুধু আলিবাবায় ৪৭ শতাংশ কর্মী হচ্ছেন নারী। আমাদের সব অফিস মিলিয়ে ৫৩ শতাংশ কর্মী নারী। আমাদের ম্যানেজমেন্টে ৩৩ শতাংশ হচ্ছেন নারী, আরও উচ্চপর্যায়ে আছেন ২৪ শতাংশ। একুশ শতকে আপনাকে জিততে হলে অন্যকে স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি অন্যের অবস্থা উন্নতি করতে পারলেই আপনি সফল। চীনের ৮০ শতাংশ তরুণ সফল হয়েছেন শুধু কাজের গুণে। তাঁদের বড়লোক বাবা নেই বা ব্যাংকের লোন নেই; শুধু কাজ করেই তাঁরা সফল। জীবনে সফল হতে গেলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হয়।

শুরুর দিকে আমাকে সবাই পাগল বলত। টাইম ম্যাগাজিনে আমাকে পাগল জ্যাক বলা হয়েছিল। আমার মনে হয় পাগল হওয়া ভালো। আমরা পাগল, কিন্তু আমরা নির্বোধ নই। কোনো একদিন আমি স্কুলের শিশুদের আমার কথা বলতে যাব। আমি তাদের বলতে চাই, নিজের মনকে বড় করো, নিজের সংস্কৃতিকে বড় করো। নিজের মূল্যবোধকে শক্ত করো, নিজের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাও। তুমি যদি কিছু করতে চাও, তাহলে প্রত্যাশা করা শিখতে হবে।
সূত্র: ইন্টারনেট
Unknown
Belonging to the Marwari community, taking up a job was never on the cards for me. In fact, I was the first one from my family to ever take up a job. By sheer accident, I landed up in IT industry, but was never happy in a job and wanted to move out.

I was looking out for an idea to start an online business. In 2011, I started selling apparels online. On the side, I used to run a ‘deal aggregation’ business which was making money; but I wanted to do something different. It was in September, 2012, that a family friend committed to invest Rs. 11 lakh in the online grocery business I was planning to launch. We launched www.punexpress.com on 26th October, 2012, in Pune: delivering groceries to seven different neighborhoods.

Around this time I was also about to get engaged [in September, 2012]. A few relatives of my fiancée visited my place to finalize things, and were surprised to learn that I was serving the notice period at my job. I was asked to continue my corporate job; but I knew if I decided to back out, it would be difficult to start all over again. Instead I declined to continue with job, and the relatives left, disappointed. My family, too, was unhappy with the outcome and no one talked to me for a few months. My family was not at all happy with my selling groceries online; and continued to pester me to get married and continue the job. Finally, they relented, after much convincing from my side.

We finally launched in October, 2012, and we received our first order the moment we went live. It was difficult in the initial days with just three-five orders a day; but things changed in a couple of months. We were getting popular in town, and were getting a lot of enquiries from areas where we did not operate in. We started off with an initial capital of Rs. 3.5 lakhs and were running an inventory led model. Soon customers demanded more depth in each category; and also demanded more categories. We slowly added more products: from 500 products on day one to 2000+ in three months. We tied up with local suppliers for new products; and we used to procure the products just-in-time. We were featured on online and offline media, and started getting enquiries for investment.



I stayed at our warehouse for the first three months. I visited my parents’ home only three days before I was to get married in January, 2013. My family was still not happy with me and wanted me to quit. We got our largest order, in terms of cart size, on the day I got married. I was more excited with the order; and was thinking about how we would fulfill the order the next day, since we had no delivery boys. My co-founder and I were doing deliveries since December, 2012 as we were unable to hold on to any delivery personnel to work for us beyond eight days. That is why we ended up doing it ourselves. I skipped plans to travel after marriage; and decided to start expanding our delivery areas.

Our investor had committed to put in more funds once we achieved a certain number of orders - on a daily basis. In the mean time we refused offers from two angel investors who wanted more than 50 per cent stake for Rs. 10-15 lakhs. To our surprise our first investor refused to give us more money; rather, he asked us to return his original investment. He was investing in an offline store and was no longer interested in Punexpress. I remember one of my relatives calling my father and asking him to consult a psychiatrist for me.

Both my co-founder and I were left clueless and decided to look for more options to continue the business. We started pitching to angels and family friends; and in parallel were delivering the daily orders ourselves, since we were running out of money. At times we were unable to fulfill orders, but decided to carry on somehow. From March, 2013, we started buying goods from D-Mart and Reliance on credit cards and delivering to customers. For the next three months Citi Bank and HDFC Bank credit cards were our so called investors! Both of us lost weight (more than 10 kgs. each) but somehow we managed to deliver the ever increasing number of orders.

Let’s fast forward to May, 2013: I got a call from a VC firm for an investment. At the same time two startups [in the same space] from Mumbai called us for a strategic alliance, and another one for possible investment. We visited Mumbai and were in talks with all three of them [in parallel] for possible investment. While things began to look up and move in the right direction, my wife survived a miscarriage, and we lost our child. It was entirely my fault as I never really took care of her. Everyone at home was angry. I didn’t know what to do next. I had lost my child. It was painful.

The following week, when I was in Mumbai for a meeting with the founder of a startup, I got a call from another startup in Pune. The startup was backed by a large IT company listed on the BSE. We were excited. We met the founder and discussed possible opportunities. He said that they were looking to strengthen their product offerings, and wanted to add grocery as a category. They were doing multiple categories including ‘FnV’; they had corporate tie-ups and access to a number of large corporates. They had been in business for three years; they offered us an offer of acquisition. We were now confused with the multiple options on our plate. The other three prospective investors were taking time to complete the formalities. So we decided to join the Pune startup; also, we were left with no further credit limit on our cards now. We decided to run both websites in parallel; we added grocery as a category to their website. We closed our warehouse and moved to their office; but continued to run Punexpress. We started delivering across Pune and PCMC. We started doing close to 60-70 orders a day and had big names from Pune as our customers. Within one month of this new operation we started doing 100+ orders, and finally, we were happy with our decision.



Two months into the operation, one fine morning we were informed that our investor had written off his investment - and we were left looking for funds. Our half of the team didn’t turn up to work the next day. They didn’t even return the assets they had (laptops, phones, etc.) In two weeks we were down to five people. I, too, decided to quit as there was no hope or scope to continue the show. That’s how I lost my second child - Punexpress. I took up my old job again, and decided to wait for things to normalize.

This week we’ll be celebrating the first birthday of my son ‘Riaan’. Things have normalized now; and in the mean time I started a milk delivery business in a few areas of Pune. I scaled it from 10 liters a day to 500 liters a day. I sold this delivery business to a family friend. Now I’m considering taking risks once again by joining a startup or starting up once again!
Unknown
Bulbul, working in the same sector, is an on-demand beauty and personal care services platform running out of Chandigarh. BulBul offers a luxurious and customized beauty experience, complete with high quality products; at one’s doorstep by hand-picked experienced beauty professionals, at that.


Sahil Bansal
Bulbul has been founded by Sahil Bansal, who earlier co-founded and worked as the CEO of Prodigy Foods. Nitish Gupta and Ramneek Kaur, who have worked as consultants before, are the other core members, together leading a 15 member team.

The idea of Bulbul came from a past project of Sahil’s, on HNI preferences in luxurious experiences and services. It was sparked by Sahil’s wife being unable to find even a single salon to avail of a beauty service in the early morning hours.


Nitish Gupta
Talking about their model, Sahil explains “We provide beauty and wellness services in the home, a secure and convenient environment, using premium products. We tie up with beauty professionals who have substantial experience in this sector. Most of them have previously worked in reputed salons, and had left because of inflexible timings and less/ no growth opportunities. We aim to empower them by offering them a major share of service costs. All our beauty professionals go through screening, training, and a background check, thus ensuring quality.”

“Minimal Turn Around Time (TAD) and availability at odd hours makes it a valuable option for working women and last-minute plans. Within three months of the launch in Chandigarh, we have seen exciting growth and high user engagement” Sahil adds.


Ramneek Kaur
The customer can avail of a service from 8 a.m. to 8 p.m., and can book 2 hours prior to the service time. All the user needs to do is download the BulBul app on a smartphone and book a service by following three easy steps. The app is available on both android and iOS app stores.

About expansion plans, the BulBul team explains, “Presently, BulBul has more than 4K registered users and has served around 1K bookings with 50% repeat customers. We are about to launch our services in Gurgaon, and aim to serve 200 customers per day in Chandigarh and Gurgaon very soon”

According to a KPMG report, the beauty and wellness industry in India will be worth US $13 billion by 2017. Sahil believes that since a large segment of this arena (70-80%) is unorganized, there is a huge potential for growth.

The salon and beauty segment has gained the interest of investors over the past one year. Beauty and grooming e-commerce platform Purplle raised over $5 million in its Series A round from IvyCap Ventures in January this year, while Nykka raised $3.4 million through private investors, including HNIs and NRIs. This was to boost the brand’s expansion plans in the omni-channel retail space. Yet to be launched mobile-centric beauty and wellness platform Vyomo also secured an undisclosed amount of seed funding from cricketing icon Yuvraj Singh’s floated startup fund YouWeCan Ventures.


We can already see growing activity in the beauty and wellness segment, and it will surely be something to watch out for this year.

Unknown

This article is for those people who want to start a new business in Bangladesh from anywhere in the world. You have many business ideas to start at this moment. But you are confused  which one is best for you to be start. Suppose you have selected E-commerce business for your first venture. there are a lot of E-commerce business like Fashion, Food, Travel, Logistic, ticket Booking etc. To start a business you have to analysis the market size, your target customer, your budget, your sacrificed time, family support, additional fund support etc. To complete a building construction, You have to arrange everything as per requirements. If anything is in short suppose bricks then you can not complete your building. Like this, you have to ready everything for starting your business. With your short budget, you can not complete your job. If you have required things to start a business, I must help you. In Bangladesh there is a bad culture that rich family boy is searching job for social recognition instead of starting a business though he has capable to start business. They are just wasting their time. There are a lot of first generation entrepreneur in the world who change their life by starting business. You know Indian Flipkart  company which is established by two entrepreneurs. They were working at Amazon.com before starting www.flipkert.com. After quitting their job, they were struggling to establish. Now this is Multi billion dollar company in India. www.justdial.com company is established after starting ten years. The founder was an employee for yellow book in India. He started from garage. In Bangladesh new young boy is coming to change their life with new business. www.chaldal.com is one of the successful ventures which is running by three Bangladeshi. They are doing well. They got venture fund from USA based venture firm.The business environment of Bangladesh is calling young people. It is a good signal for young generation. I think I can help you for your venture. Because with my help one venture has already been established. To make a good decision on the basis of your back ground, you get information from me which is essential for your venture.
Unknown
Soft Link  is a custom Software Development and IT Solutions company in Dhaka, Bangladesh. We have worked on projects ranging from Facebook apps, mobile apps and games, SaaS applications, e-commerce stores, corporate websites and other hand-crafted solutions. Our Services:

  • IT Consultancy
  • Customized Application Development
  • Web Application Development (CMS, E-Commerce, Social Network etc.)
  • iOS Application Development (iPhone/ iPad)
  • Android Application Development
  • Network Infrastructure Services



Products :


  • Tracker - attendance and time tracking solution.
  • Accounting - web-based Accounting and ERP solution for small and medium sized companies.
  •  POS - web-based Point of Sale solution targeted for micro, small and medium businesses to manage sales and inventory.
  • HRM - HR management solution for SMEs.
  • Lib - library management system.
  •  SIS - web-based Student Information Management System.




Contact: tanvir.ebiz@gmail.com
880-1613-111117

Unknown

Foodtech startups in India have taken center-stage the last couple of months, even overtaking the spotlight from the Indian e-commerce space. From expanfsion plans of biggies like Zomato and FoodPanda, to recent funding rounds of startups like Swiggy, TinyOwl, Dazo (formerly TapCibo) and Grab.in, there seems a trend of not just customers but also VCs putting their money where their mouth is. After all just the food services industry is touted to be a $50 billion market and growing at 16-20% each year.

While you may hear of startups once they turn big or in the news for funding, at YourStory we have been able to discover promising new ones much earlier. Here’s a look at the food startups that presented during our Food Tech Crowd Pitch Challenge last month in Bangalore, held in collaboration with crowd engagement platform Catapooolt.

Feazt: The platform brings together housewives, aspiring chefs, networkers, foodies and travellers who wish to meet-up over food. Now with Feazt one may never need to eat alone.

Bueno Kitchen: A platform that let’s one order and deliver food from their own, franchise or partner spoke kitchens. So whether it’s Lebanese, Mexican, American, Indian, Asian, Italian or any other European cuisine, Bueno aims to provide something for everyone.

Cheqmate: They are attempting to create a more efficient order and pay restaurant system primarily with the help of one’s phone. By using data, facilitating cashless payments and automating the process of ordering food, their goal’s to make queues a thing of the past.

Clozerr: This marketing and loyalty automation platform seeks to help businesses retain, acquire, reward, engage, analyse and reach out to their customers. Here customers can check-in at their favourite places with a single tap and get rewarded.

DudeGenie: For all food needs, grocery purchases and anything else one may need, DudeGenie will help deliver it to them. All one needs to do is to text (SMS or WhatsApp) to make one’s life much more convenient.

FalafelFactory: This startup saw a great potential in authentic Middle Eastern food in India and now offers them on-the-go to customers. Through their central kitchens, partner outlets and low cost delivery teams, access to Falafels will be made easy.

FromaHome: They are attempting to solve the challenge of home cooked food not being easily accessible by single men and women across Indian cities. This is being pursued by creating a community of homemakers and good cooks willing to list their menu online to receiving orders.

Tandurust: This startup reaches out to fitness enthusiasts, health conscious people as well as those with medical conditions and helps deliver healthy and balanced meals to their offices and homes.

Gullu’s Kitchen: This food startup makes use of college campus to set-up their kitchen, and from there reach out to people. The main target is the student community, who are believed to have frequent hunger pangs, fewer options to buy food and can make better use of technology to order food.

HomeKitch: Here’s another startup that provides a platform for home-makers, professional cooks to list their food items for bachelors, students and other people to order online. They feel households will be able make additional income as there’s a demand for homemade food in Indian cities.

HungryBells: This app seeks to make use of the hyperlocal trend to help customers discover their favourite food items and brands. Besides discovering new dishes, they seek to provide useful information to customers based on their interests and taste profiles.

Done Solutions: For the food industry they seek to address challenges ranging from lack of multiple modes of ordering, customer engagement, options to up-sell, actionable insights and more, through their cloud-based order management, CRM and analytics platform.

EatonGo: A cloud-based breakfast and brunch restaurant with door delivery, EatonGo seeks to offer all major cuisines of the world to its customers. They are keen to focus on the health conscious and those with less time to make a healthy breakfast.

MeDine: This startup aims to drive offline consumer behaviour through data sciences and technology. In their model, restaurants pay MeDine (now BountyApp) for foot traffic, while customers get rewards by checking-in places.

Pickle&Powder: This startup has worked on a specialised food shopping portal open for all authentic and homemade specialties like masala powders, pickles and sweets.

PlaceofOrigin: Another ‘back to roots’ focused startup, Place of Origin seeks to bring legendary food from different parts of India to your homes. They work with partners who help deliver these items once customers place their orders online.

TheFirstMeal: This food-tech startup also enables individuals and businesses order breakfast and brunch at any place of their convenience. Here the breakfast can be customised in terms of menu, packaging, delivery and payment options.

The event’s startups and delegates came from all over — not just from Bangalore but also from Delhi NCR, Mumbai, Hyderabad, Chennai and even smaller towns like Coimbatore. These startups made elevator pitches to a connected audience and an expert panel of judges that included the likes of angel investors like Ravi Gururaj and seasoned F&B entrepreneurs like MastKalandar’s Pallavi Gupta. While the panel picked ‘Bueno Kitchen’ and ‘Feazt’ as its winners, the crowd’sfavourite turned out to be ‘PlaceofOrigin’.

It needs to be reiterated that most of these startups have been set up only a few weeks ago and it will be interesting to watch their progress in the coming months. Stay tuned for more exciting stories and event updates.

Source: Yourstory
Unknown
Like you, I’ve always wanted to be successful in my life. I’ve achieved success now, before my 31st birthday.

My parents wanted me to be a rich and well-known person – a“bada aadmi” – so I studied hard to get a decent job. Like many others, I also thought that a job in an MNC IT company was key to heaven. I would get money, position, respect and, one day, retire as a rich CEO.

It looks scary when I think of myself from a few years back. What the f*ck was I doing at my job?

Getting ready in the morning before the meeting time
Wasting time in useless meetings
Accepting work I did not like
Preparing reports nobody cared about (except my manager)
Filling up fake time-sheets (so my salary would get processed)
Doing work late hours because my company offered so-called flexible timings (company laptop for work-from-home was a curse)
Missing get-togethers and parties with friends because late evening meeting were scheduled with my American client (as they work in their morning only!)
I was a weekend worker because I had to be a responsible employee (actually, a promotion aspirant, so I had to be better than others)
Always waiting for my salary to appear in my account (single biggest reason I spent seven years there)
Thinking of starting a bigger company than my current employer

As you might have guessed, I hated my job. I could never be successful in that work environment. I never wanted to become like my manager or his boss or his boss. There was no inspiration or motivation for doing great work.

Related Read: Why you should not start a startup

Then, I started working on ideas with my friend. We were in a hurry to start a company (not a startup, but a big company). I wanted to do something in the  education field. We hired one person to develop an online platform for schools. When we gained traction, I left my job in February 2014 to build my first startup in the education domain.

We made a lot of mistakes; we wasted a lot of money; we lost direction. My startup failed in six months. It was mainly because of conflicts with the co-founder, but there were more reasons of our failure.

Most important learnings are a collection of failed experiences.

My co-founder joined a lavish job, but I was determined to startup. The whole experience of failure was an eye-opener for me. My dream was broken.

But a dream must be broken to wake you up from sleep.

I was looking to work with other startups as an employee or partner. I still had the  capacity to take risks (minimum salary + equity). It was more important to find founders with similar mindset than high profiled ones.

I met with the Founder of The Morpheus Accelerator, who connected me with his portfolio companies in Delhi. I ended up joining another startup in education. I found exactly what I was looking for – a visionary founder.

We worked hard; we experimented; we changed our marketing and product. Some things went well, some fell apart. We were progressing towards our goals, but without earning any income. We had to pivot to make money, but we could not figure out where our mission matched with VC expectations.  Soon we had to put our work on hold.

“If you’re going through hell, keep going.” — Winston Churchill

This is a period of struggle most startup founders go through. I am no exception. In this journey, I discovered myself — the real me. I am so glad that I said ‘NO’ to my well-paying job.

It was freedom from gold handcuffs.

Now, I work at my home, enjoying my successful life.

I wake up whenever I like. I don’t remember when I last used an alarm clock. Some days I work till 2:00 AM, but other times, I don’t feel like working beyond 9:00 PM.

It’s the freedom of working.

I go shopping on weekdays when there is no crowd. I don’t have to get frustrated in traffic jams; I don’t have to line up in billing queues. It saves my time and energy, which I use for creative purpose.

Also read: Top 10 reasons why startups fail

I don’t have to live by rules defined by someone (often known as the Manager or Boss).

It’s my life. I decide what’s good for me, and I decide whether I should refine my skills in technology or testing or excel sheets.

I do things that I am not qualified for.

I used to get a ‘C’ grade in English language (and I am still bad at English), but I love writing articles these days. I don’t have a marketing degree, but I’m doing digital marketing.

I always loved studying financial material, but never got the courage to explore it as a profession. I am taking that risk now. I am determined to make my profession around personal finance, like investments, payments, tax savings, banking and credit cards.

As Steve Jobs said beautifully:

You can’t connect the dots looking forward; you can only connect them looking backward. So you have to trust that the dots will somehow connect in your future. You have to trust in something — your gut, destiny, life, karma, whatever. This approach has never let me down, and it has made all the difference in my life.

I was average in my studies, and I always avoided reading books. I never read story books when I was in school, or fiction novels when I was in college. But now I love reading books — see what I am reading here.

It’s like my re-birth. I am living my life more sensibly. I take care of my physical and spiritual health.

I am doing work that is meaningful.

My work is to touch human lives in positive ways. My first startup was to help education institutes (teachers, parents, students), while my next startup was to help students in learning science.

I love building products; I love coding; I love learning new coding languages. So I’m doing what I love. I’m now learning Ruby on Rails to build world-class web applications.

I spend four to five hours daily with my son. I play with him, cry with him, fight with him and occasionally teach him something. There is more to learn from children than to stuff their mind with knowledge (garbage).

I always dreamed of this life. I wanted to stay close to my family, and now I’m living my dream.

Earlier, I worked for Aricent; now, I work for my family.

Oh! And I forgot to tell you- I’m not rich yet.

Rather, I am poorer than I was last year. But money does not plain success to me — it is a must to have for buying survival and luxury. Survival supports life system, and luxury gives us happiness.

I have both life and happiness.

I know I will be rich one day, but I am successful today.

Source: yourstory

Unknown

2008 was a pivotal year for Ahmedabad-based Rohan Desai. It was the year when Rohan completed his MBBS and became a doctor but also got through to IIM-Ahmedabad for a MBA.  Ever since this turn of events, a majority of conversations have revolved around why he decided to do an MBA after becoming a doctor? And my question wasn’t very different.

“My parents are doctors. I entered this field with the flow and never really questioned it, but I was always good with mathematics and analytical situations. I was always more involved with things and systems that worked at scale,” says Rohan. He easily got through CAT and made it to IIM-Ahmedbad, the most prestigious B-school in India. Here, Rohan was exposed to a lot of possibilities and his mind was set on building something for the healthcare sector and doctors at large.

After his MBA, Rohan took a consultancy job for a few years but by the end of 2013, he had made up his mind to start up. But what? Being a doctor with a knack for technology, he was observing how doctors used social media. “I’d often come across doctors posting some breakthroughs they made on Facebook which is not a place one would typically expect such updates,” says Rohan. This was one angle but there was something more basic which was broken – doctors work on  different models (contract based, part time, internships, exclusive contract, etc.) with hospitals and clinics, and there is no consolidated place for these openings.

Thus the idea to open a job portal for doctors was born. There are various specialities and super specialities for doctors. With a very wide category spectrum, a dedicated platform for doctors does make sense. And on top of it, they have the social layer with speciality specific feeds so that it is relevant to every doctor on the platform.


(L to R) Rohan Desai, Binal Doshi, and Kinnar Shah
Keen to explore this idea, Rohan got in touch with Binal Doshi, a doctor friend who also went for MBA to IIM-Kozhikode. She liked the idea.

Source: Your story
Unknown
When Tapan Kumar Das came to Bangalore, he observed that people were not eating healthy. That was when the idea to spread awareness regarding the long-term benefits of healthy food struck him.

Tapan launched iTiffin in 2013. It’s an online-cum-offline tiffin service company that offers high quality healthy and delicious meal plans for homes and offices. With a seamless blend of advanced nutrition, food science and food service, it offers wellness meals and calorie-defined meals that are in accordance with the customer’s preferences.


The company assures qualitative and wholesome food to its patrons. “The idea behind launching iTiffin was to provide people with nutritious meals at their doorstep and make them aware of how lifestyle disorders can be prevented through good food,” says Tapan.

Early days of iTiffin

Although getting early customers and raising initial funding was difficult, in spite of these hassles, iTiffin delivered over one lakh meals in the first year of operation.

“Initially, it was a cumbersome task to maintain the quality of food as well as retain potential customers, but as time passed and people started realising the importance of healthy eating in the country, it became easy for us to deliver high-quality meals to our patrons. Since our inception, we have been bringing innovation and variety in the menu to avoid monotony and lure customers to opt for healthy meals,” points out Tapan.

Growth of business

The Bangalore-based company has grown remarkably during last year attaining the delivery milestone of over one lakh meals in the first year of its operation itself. “With over 5000 loyal customers in our kitty and an average customer retention period of 60 days, we were able to clock revenue of around Rs. 3 crore in the fiscal year 2014. Our USP of providing scientifically-designed nutritious meals for our patrons is the reason behind the immense success of iTiffin,” adds Tapan.

The company is looking forward to expand its orbit to each and every city across India. “We are also extending our product line by launching innovative meal plans that suit the requirement of our patrons,” adds Tapan. iTiffin is looking to raise $10 million to increase its product portfolio and propel its pan India reach.

Why healthy food segment is hot for startups?


The health food domain of the country has been growing at a phenomenal rate since the past few years, owing to the increased level of awareness among people regarding the benefits of a nutritious and balanced diet. The market is new and lucrative as not many players have entered the landscape yet. Over the past one year we have been witnessing a slew of startups making debut in the healthy food segment.
The brainchild of IIT Delhi alumnus FRSH offers healthy food like salads, juices and wholesome cereals among others. , Spoonjoy, offers freshly cut fruits, sprouts, a combination of both, lunch, snacks on a weekly subscription basis. Another New Delhi-based startup Fresh Food ventured into nutrition food market with its flagship product Juice Up which offers a range of 100 percent raw and fresh cold pressed juices.

“Whether in the online or offline space, the health food segment is going to see a positive growth graph. As people grow more conscious about their health and develop an understanding about the importance of having a healthy lifestyle, food companies are going to see enormous growth,” says Tapan.

With the increasing trend of nuclear families, hectic schedules of the working population and the escalating demand for wholesome food at one’s doorstep, the future of the health food segment is promising in the country.

The segment of health and wellness food is estimated to rise to a whopping Rs. 55,000 crore this fiscal year. Due to the increased prevalence of lifestyle diseases in the country, people have now become more aware of the causes of these diseases. This has hence increased the market size of the health food sector, providing umpteen opportunities for food companies to launch healthy and nutritious packaged foods in the country. The fast-paced and hectic life of people has broadened the health-food market enormously.

Source: your story
Unknown
My mother taught me how to make tea when I was very young. And ever since, I have always been particular about my cup of chai,” says Nitin Saluja, Founder of Chaayos, an NCR based chain of tea outlets. Their tagline reads ‘Experimenting with chai’ and it reflects when you look at their menu where you’ll find teas like ‘aam papad chai’ or the rose cardamom chai. Launched in November 2012, Chaayos currently has eight outlets in NCR and is now planning to expand to Mumbai and Bangalore.

The back story

Chai was always a crucial part of Nitin’s life but he had never thought of opening a chai outlet, especially not after getting through IIT-Bombay! But life always has interesting cards to deal out; one only needs to be open to possibilities.

In the final years of college back in 2006, Nitin was pretty sure that he didn’t want to get into a dull job routine. He got along with a few friends and started a robotics company, Think Labs. Incubated at SINE-IIT Bombay, the company has morphed into a dedicated provider of hands-on science and technology education in India and is currently valued at over $10 million. Moving on from the operations at Think Labs, Nitin moved to Opera Solutions for a five-year stint before the entrepreneurial bug bit again.

“Somehow chai was always there at the back of my mind. And when I asked myself if there is a place in India where I can find ‘meri wali chai’, the answer was no,” says Nitin. This is when he decided to go ahead with this seemingly crazy idea of starting an outlet of chai. The idea was to have something like a Starbucks for India and that of course has to deal with ‘chai’.


Starting up

While thinking of this, Nitin was introduced to Raghav Verma, an IIT Delhi graduate of batch 2010 by a common friend and the two hit it off straight away. Nitin took care of the product development, settling the supply chain, setting up processes while Raghav took care of marketing and business development.


Founders- Nitin Saluja and Raghav Verma
Settling for the name Chaayos, the duo opened their first outlet, got the unit economics right and charted a scaling up plan. Over the last two and a half years, they have opened seven more outlets with a core team of eight people and a staff of 50 as the ground staff.

“The challenge which most people face is to maintain quality while scaling up. This is one area which we think we’ve got covered and gives us an edge. Each of our cups can give that ‘meri wali chai’ feeling,” says Nitin. Their highest grossing outlet turned in an annual revenue of INR 1 crore. The target market for Chaayos is the upcoming middle class that has money but is equally conscious of the value they get.

Interiors at Chaayos

Making chai a venture backed business

Great. All this sounds good but Chaayos has also been able to raise an angel round from the likes of Zishaan Hayath. How is chai a venture-backed business? Don’t investors look for a 100x return? Nitin gives us Zishaan’s perspective to this:

Is the market there? Well, chai is a product that doesn’t need any marketing.
And if one outlet is doing INR 1 crore annually, it is pretty easy to scale up to INR 100 crores in total in the next two years (Math – 60 Stores X 1.5Cr per store = 90Cr ~ 100 Cr)
And chai is not restricted to India alone; Chaayos will be keeping an eye out for SE Asia, the Middle East and other regions as well.
The plan for Chaayos is to setup 60 more outlets in 2015 and scale up rapidly. Apart from outlets, they already have tie ups with corporate for deliveries. Their app is coming out soon which will be opening a B2C subscription channel as well.

Is Chaayos alone in the race? Ofcourse not. Chai Point is perhaps the largest player in the area which already has 60+ stores. There are many other chains as well like Infinitea, Chai Thela, Chaipatty, etc. but most of them haven’t been able to scale up quickly enough (and everyone doesn’t have to). Nitin and team are currently focusing on getting the deliveries kick off with their app launch along with a fund raising effort to fuel growth.

Source: You're story
Unknown
When the first season of ‘Satyamev Jayate’ was launched, it had the country talking about unspoken issues faced by people around us. Be it casteism, healthcare, Khap Panchayat or the stigma of bearing a girl child, every issue was raised.

Madhu Gupta was one of millions who watched Satyamave Jayate and was shocked to find out how almost no doctor prescribes cheaper generic medicines. The cost of these medicines is close to 40-to-60 per cent of branded medicines. They also have the same compositions and effects as their branded counterparts.


Madhu decided to take responsibility to change things. She started discussing the prospects of starting up to provide generic medicine to people. Madhu teamed up with her husband Pankaj, and both of them started MereMedicare.com- an e-commerce portal for generic medicines.

Prior to starting MereMedicare, Madhu was an associate consultant at Oracle India Pvt Ltd for two years, while Pankaj worked with Veeco instruments in various capacities. Both are based out of the US, but the fact that they were away from India did not deter them to startup.

At present, they have close to 5000 registered patients and more than 250 pharmacies in their network. After deliberating and researching various aspects of running an e-commerce business in the pharmaceutical industry, Madhu and Pankaj finally started up in July 2014. For every medicine, customers can buy either branded or generic versions. While branded medicines cost more, generic medicines are cheap in comparison with the same benefits. The company has its presence in Delhi, Noida, Gurgaon and Bangalore.

Talking about funds, Pankaj says, “So far, we’ve been bootstrapping to run and expand our business. We believe that personal funds will be sufficient to expand Mera Medicare in at least 10 cities. For expanding more and adding more business segments, we`ll definitely need funds. In the last six months, we’ve received offers from three good investors, but we politely declined them. We plan to re-engage with them at the right time.”

The company works as a marketplace connecting buyers and sellers in the healthcare industry. The founders are based out of the US, while the team is set up in India. At present, the team coordinates through Skype. MeraMedicare has four full-time members on board and a team of over forty interns working from different locations. The company works on a subscription model for regular patients and healthcare professionals, while others can purchase medicines online -just like any e-commerce site- with a delivery time of around 2-4 hours.

Talking about their future plans Pankaj says, “Overall, we want to be the Flipkart of healthcare sector. We would like to expand in 25 major cities of India in the next two years. We plan to be operational in six more cities in India, which are tentatively Mumbai, Hyderabad, Pune, Surat, Chennai and Jaipur. “

While e-commerce is on the rise, healthcare commerce still has a long way to go, and the market is ripe for more players. At present, we have companies like HealthKart, Medidart and Medist working on this front, too. But considering the population and the market, we still have a lot of opportunities in this sector.

Source: Your story
Unknown
Bengaluru-based Qyk, a mobile marketplace for finding local services, has raised angel funding from a group of angel investors, including early investors of Ola, Housing and Delhivery.
 Deepak Singhal, Co-founder & CEO of Qyk, said, “Hiring a local service provider in India is a big challenge and we feel the timing is perfect to build a mobile-first solution given the rapidly increasing smartphone penetration.”

Keeping up with uberification of services’ trend, Qyk seeks to serve as a one-stop platform for availing a range of local services from local service providers in the vicinity. The mobile marketplace connects service seekers with service providers. They are doing what JustDial has been doing for the web and call centre for a mobile and messaging era.Qyk founding team - Deepak Singhal, Sangharsh Boudhh, Shobhit Singhal and Anubhav Sahoo

The founding team comprises folks with relevant experience in building scalable Internet and mobile products. Qyk was founded four months ago with a vision to build a hyper local solution for customers. Founders are alumnus of IIT Bombay and IIT Kharagpur -- Deepak Singhal, Sangharsh Boudhh, Shobhit Singhal and Anubhav Sahoo -- who come with past experience of working with companies like Ola, InMobi, Practo and Deutsche Bank.

How does Qyk work?


The app asks users to specify his/her service requirements and it pushes aggregates competitive quotes from the most relevant service providers. It makes it easy to compare and save time and money.

Qyk is a mobile platform that enables customers to hire trustworthy service providers and professionals near their area. This includes service providers other than ‘home services’. Finding a reliable and competent local service provider specific to one’s requirements is difficult and time consuming. Qyk offers the customer, options tailored to his personalized needs by enabling comparisons and competitive quotes. This enables them to make a well informed choice.

Regarding the future potential of Qyk, “Local services solutions market is ready to be disrupted and this is a team which has the vision and skill-set to do it. We need a mobile solution like Qyk to help businesses grow and enable customers to find the right service providers,” says Zishaan Hayath, who is early investor in Housing and Ola.

Angel investors

Investors include Zishaan Hayath (Co-founder of Toppr and Powai Lake Ventures), Abhishek Goyal (CEO and Co-founder of Tracxn.com, ex-Accel Partners) and Sahil Barua (CEO and Co-founder of Delhivery).

Abhishek Goyal, early investor in Delhivery, says “Qyk is a great idea that helps us find local services that are more professional in nature. There are two large plays in local services, one is on-demand and the other is reverse auction. Reverse-auction business model is largely a technology play. Team Qyk’s approach of solving this problem via a mobile first product and their extensive experience in technology gives them a very big advantage to be the market leader."

Now in Bangladesh, Our peon is providing this type of services. They do not develope any app for this service. But on demand of the customer they are dedicated for those services booked over the mobile. Our peon will develope the app so that they can provide services on technology based.
Unknown
The smell of freshly peeled garlic and onions wafted out of the room. Piles of peels were kept at the corner and I could see huge containers storing garlic and onions all around. This was not a cooking facility. I had just walked into a pioneering cut and peel unit with a cutting edge machine that peeled garlic at the rate of 100kg per hour. Highly trained manual labour can only accomplish one tenth of that rate.

The Bangalore-based Edanta Food, all set to clock an annual turnover of Rs 1.3 cr this financial year, aims to completely change the highly unorganized cut and peel industry in India through a combination of technological innovation and professionalism. At present, the enterprise produces peeled garlic, onions and grated coconut through its brand Cookup and supplies the same to most of the well-known supermarkets and hotel chains across Bangalore, Hyderabad, Chennai, Cochin and Coimbatore. Edanta’s customers include famous retailers and hoteliers such as Reliance Fresh, Nilgiris, FoodWorld, Big Basket, Naamdhari’s, Auchan, Star Bazaar, More Megastore, Taj Group, Adyar Ananda Bhavan, Sodexo and Thalappakatti. Demand is escalating at an exponential pace – Edanta has expanded from 10 to 170 outlets last year with sales having increased nearly seven times since January 2014.

Prajwal Koteshwar (L) and Vinayak Nanjundappa (R)

While completing his masters in computer science in the US, Vinayak Nanjundappa noticed the huge stock of freshly cut vegetables that was available to the residents. Automating the most laborious step in the cooking process had significantly reduced the workload on most home cooks and professional chefs and increased efficiency. Wondering why something similar had not been done in India, Vinayak shifted back home to research it. He completed stints at Wipro, GE and Ethnus where he met Prajwal Koteshwar, also a computer engineer, who had previously worked at an entrepreneur mentoring enterprise. Hungry to begin selling their own products, both decided to start their own venture in 2013.

Mechanizing the Indian kitchen


Large scale urban socioeconomic trends were already picking up – the number of working women was increasing steadily, people were spending more time commuting to work since offices were shifting towards the outskirts of cities leaving less time for household chores. However, nothing had changed in the kitchen.
While experimenting, Edanta’s founders realized that dealing with cut vegetables was extremely complicated, although their products could last for seven days, due to poor retail infrastructure, no store could provide chillers that could maintain temperatures less than 5  degree C to keep the vegetables fresh. The product’s lifecycle was reduced to two days and Edanta tasted its first failure.

Instead of reinvesting in more technology to support the retail infrastructure, the ‘engineering’ duo customized imported machines by themselves to peel and sort Indian vegetables and focused on products such as garlic that last for seven days despite being stored at temperatures close to 12 degree C. After a few trial production runs, they never looked back. Edanta now accounts for 70 per cent of the cut and peel products in the retail market and caters to 30 per cent of the hotels in Bangalore. The city’s total consumption is almost 1,000 kg a day and it has the potential to consume three times its current quantity.

The X factor

The conventional way of sourcing for peeled garlic is through contractors who have hired labour to manually peel garlic at a certain rate. There is absolutely no guarantee regarding the quality or reliability of the product. Add to that, the increased dependability on labour and it means that supply is affected by holidays, sickness and leaves of absence.

By complying with food safety standards set by FSSAI and using R&D from CFTRI, IIHR, Edanta certifies the hygiene and safety of its products, an aspect that cannot be replicated by the unorganized segment of the cut and peel industry. Customers pay a certain 20-25 per cent premium solely for the accountability, due diligence and level of professionalism the venture has brought to the sector. Every order is accounted for in their system and the pricing is transparent.

Edanta follows a two-pronged approach to revenue generation, of targeting the consumer segment (low volume higher margins) and HORECA (high volumes lower margin) industry with annual contracts due to which it enjoys a stable and robust revenue model. Annual contracts offset the risks of capital expenditure going into innovation and continuous R&D.

The road ahead

The Edanta team is an ambitious one. Its vision is to join the league of legendary consumer product companies such as HUL and P&G by organizing an industry dominated by manual labour and bringing in a certain rigour to the sector with high-quality, safe and fresh products for consumers. They have plans of expanding into other major cities including Mumbai and have already started receiving enquiries from Delhi, Gurgaon and Pune. A much larger, 6,000 sq ft factory is in the works in Tumkur which can produce eight tonnes of the product per day. Soon, once economies of scale set in because of the increased volumes, the current premiums can be reduced from 20 per cent to five to eight per cent.

Vinayak comments that the growth in technology has helped him cut costs over the last few years with the image processing technology in his machine now costing only Rs 24,000 per unit from Rs 1.5 lakh a few years ago. He believes the use of manual labour will decrease with individuals from all strata aspiring for higher quality of life and skilled jobs. The metamorphosis of the milk market has inspired him. The entry of organizations such as Amul, Mother Dairy and Nandini has brought in high standards in packaging, safety, pricing and hygiene of milk products. Buying milk in tin cans is no longer acceptable to us. Vinayak hopes that Edanta can start a similar revolution in the cut and peel industry.

It seems that the day is not far off when Indian kitchens too can move to the age of complete automation.

Source: your story
Unknown
The first online free classified ads website in Bangladesh, Cellbazaar.com, has officially re-identified itself as “Ekhanei.com”.This announcement was made at a press conference in Dhaka today by Arild Klokkerhaug, director of Ekhanei.com.Cellbazaar.com started eight years ago in 2006, and is now known as Ekhanei.com, it continues with the most experienced team and trusted service for classified ads. Arild Klokkerhaug stated: “We just crossed the impressive number of 10 lac likes on our facebook page. As Internet spreads to the most remote corners of Bangladesh, we decided to change our name to a truly local, Bangla name which is more relevant. It is completely free to post an ad on Ekhanei.com, and we want to tell people that wherever you are in Bangladesh, we are right here – Ekhanei!”The new kite logo is one of the several improvements to the outlookof this online platform. The first change customers will see is a cleaner looking homepage that encourages them to select their home location. This is done becausebuying and selling goods between consumers is very dependent on nearness. The new homepage also includes the seven most popular categories of the site, allowing customers to more conveniently access the most wanted types of items.While earlier, mainly cars, properties and electronics were bought and sold through this online classified website, mainly by men. However, the recent trends show that more women also use the site to buy and sell furniture, home appliances, sport gears and lifestyle products.All features and services on Ekhanei.com are now available in both Bangla and English over web and mobile, with an easy tab option to switch between the two languages. Users can avail the services of this online classified website throughout the country. Every ad and every user profile is just how it was on Cellbazaar.com, so the change will only positively affect all users.Ekhanei.com is owned by SnT, which is jointly owned by the Norwegian companies Schibsted and Telenor. Schibsted is a global giant in media and classified ads operating in about 35 countries across the globe since 2001, and Telenor is a global giant in mobile telephony.  The team around Ekhanei.com benefits from the best local and global experience and expertise to build lifestyle improving services.To ensure that fraud and trade of stolen goods does not happen on our site, Ekhanei.com uses advanced software to auto-detect potential fraud. More importantly, it has the most experienced team of specially trained moderators, who check every submitted ad very carefully against many criteria and reject every ad that seems suspicious.
Unknown

At the early stages of launching a business it's all about building credibility with customers, employees and partners
Becoming your own boss is many people's dream. The appeal seems obvious - complete freedom over how you organise your time, and only having yourself to answer to.
A host of recent multi-billion dollar deals for small start-ups, particularly in the tech arena, have helped fuel many people's dreams.
Facebook paid a cool $19bn (£11.4bn) for messaging app WhatsApp when it had just 50 employees and had only been in existence for six years.
The internet giant also paid $1bn for photo-sharing smartphone app Instagram, which was less than two years old and had only 13 staff.
Similarly, Yahoo shelled out $1.1bn for blogging service Tumblr, founded just six years earlier.

Big deals for start-up firms, like WhatsApp, are rare, with most new firms failing
Successes like these make it tempting to think that with the right idea serious wealth is just around the corner, yet the stark truth is that most start-ups fail.
In fact, the majority (55%) of British small and medium-sized enterprises don't survive more than five years, according to research from RSA, the UK's largest commercial insurer.
And ditching the day job to start up your own business is rarely as glamorous as it sounds.
'Really competitive'
Filipa Neto is co-founder of Chic by Choice, an online marketplace which rents out designer dresses, enabling people to hire rather than buy them.
Ms Neto, originally from Portugal, says she and co-founder Lara Vidreiro came up with the idea after struggling to find dresses for formalwear events when they were not willing to shell out hundreds of pounds.

Chic by Choice rents designer dresses sourced from well known brands
She says her parents were initially sceptical of her idea.
"In the beginning, they were like 'what are you doing with your life? Why are you not going to a consulting company or working for McKinsey, Deloitte or KPMG?'," says Ms Neto.
"Those were the expectations for someone who went to a really good university in my country."
The business launched in June last year and is not yet profitable, but so far it has 230,000 customers from 15 countries across western Europe, and its transactions are increasing by 30% each month.
But Ms Neto says it is difficult to persuade more well-known designers and established brands to join her database of suppliers.
"It's really competitive. So even when I do an approach that is really targeted I know there are a hundred other people trying a targeted approach as well."
'Delicate balance'
Leadership expert Steve Tappin says start-up firms like Chic by Choice should assume a 90% failure rate when trying to get big firms on board, with only a minority of the most pioneering large firms willing to do any kind of tie-up with a new company.
"Their fear is of making the wrong decision and getting into trouble with the hierarchy, that's for most corporates unfortunately the situation."

WAYN aims to help people discover where to go on holiday next
However, he says there are "four elements of trust" which any start-up founder can work on to help persuade a large firm to support them: making some kind of personal connection, ensuring their motivation behind the business is genuinely convincing, proving they have the ability to deliver consistently. and making sure their way of doing business is compatible.
But even once a start-up has persuaded larger firms to come on board either as part of a partnership, or by way of an investment to help it expand, working out how big a share of the firm to give away as part of the deal can be difficult.
Peter Ward is co-founder of WAYN, an acronym for Where are you now?, a social network aimed at connecting travellers and helping people discover where to go and what to do in new places.
It's already profitable, with a presence in 193 countries and more than 23 million members, but Mr Ward has bigger ambitions, wanting the firm to be valued at $1bn. Yet getting the right investors on board to help it drive this expansion, but still managing to keep overall control is a "delicate balance", he says.
"The trade off is you want to raise more but obviously maintain the control, which in our case is board control as well as equity majority. One of the things that plays on my mind is do we have enough financial support to play against the big guys?"

Lemonaid Beverages gives 5p from each bottle sold to its charity
To address this, Mr Ward says he is focusing closely on people's perception of the firm.
"The key is to get the balance right, where you can show momentum, you can show that you're doing something unique, that has the potential to be huge," he says.
Carving a niche
Julian Warowioff is UK managing director of German start up Lemonaid Beverages, a soft drinks firm using organic and fair trade ingredients, where 5p of each bottle purchased goes to its charity, and which aims to help disadvantaged communities globally. He says competition with bigger firms is also a challenge.
"We are still a very small company compared to our competitors, which have really big marketing budgets which we can and will never have," he says.

Julian Warowioff says it is not targeting the big supermarket chains to sell its drinks
However, instead of trying to directly compete, Mr Warowioff says Lemonaid Beverages is trying to carve out its own niche using word of mouth, and trying to spread the word about the company and its charitable projects by attending music festivals and similar such events to meet potential customers directly.
"As we do not have shareholders in the company that ask for a profit margin on their investment we're pretty free to choose how much we want to sell, where we want to sell," he says.
"For us that means we'd rather supply the small individual artsy cafe bar restaurant scene, the corner stores, the organic wholefood stores, rather than the big supermarket chains."
In the end, the biggest determinant of success for a start-up firm, says Mr Tappin, is how convincingly a founder is able to convey their own excitement about the business.
"They've got to love their business. It's got to be connected to them and it's got to be meaningful for them. If they can create the same passion in investors then the sky's the limit," he says.
This feature is based on interviews by leadership expert Steve Tappin for the BBC's CEO Guru series, produced by Neil Koenig